,

উচ্ছেদের পর আবারো শায়েস্তাগঞ্জে ভেঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা

জুয়েল চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এলাকায় উচ্ছেদের পর আবারো ভেঙ্গের ছাতার মত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। দখলদাররা সরকারী জায়গায় টিনের ছাপটা ঘর, ত্রিপাল ও আধা পাকা ঘরসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আর এসব স্থাপনার মধ্যে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ রয়েছে। নতুন ব্রীজ গোলচত্বর এলাকার তিনপাশে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে একটি প্রভাবশালী মহল ব্যবসা পরিচালনা করছে। আবারও এসব অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সযোগও রয়েছে। গত জানুয়ারি শেষে ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসন ও সড়ক জনপথ বিভাগ মহাসড়কের দুইপাশের এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। কিন্তু ইদানিং আবারো দখলদাররা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছে। রাস্তার দুই পাশে এসব স্থাপনা থাকার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন নতুন ব্রীজ দিয়ে বিভিন্ন জেলায় শত শত যানবাহন চলাচল করছে। যানজটের ফলে প্রতিদিনই কোনো না কোন দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দোকানে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ থাকার কারণে লোডশেডিংসহ বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া সরকার প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফয়েজ মিয়া, মতি মিয়া, নুরে আলম, জানে আলম, সিদ্দিক মিয়া, ইউনুছ মিয়া, চান মিয়া, সাইফুল মিয়াসহ আরও কয়েকজন প্রভাবশালীদের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, করোনার আগে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবারও যেহেতু স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে সেহেতু মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানাসহ উচ্ছেদ করা হবে। সড়কও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজিব আহমেদ বলেন, সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে এসেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে ৭ দিনের ভেতর অবৈধ স্থাপনা দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিৎ রায় দাশ জানান, এসব অবৈধ স্থাপনার ফলে যানজটসহ দুর্ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি সড়ক জনপথ বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবেন। এড. মোঃ আতাউর রহমান ও কামাল উদ্দিন সেলিম জানান, সড়ক পরিবহণ ২০১৮ আইনে বলা হয়েছে মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা রাখা যাবে না। এতে জরিমানাসহ জেল হতে পারে।


     এই বিভাগের আরো খবর